সৃজনশীল—১ ■ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
উদ্দীপক-১: নতুন দারোয়ান সামাদ মিয়ার সাথে ছেলের বেশি ভাব-বন্ধুত্ব কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না আবীরের মা। তিনি স্বামীকে বোঝান- বিভিন্ন ফন্দি করে মানুষ এখন অন্যের বাচ্চা চুরি করে। সামাদ মিয়াও তো একদিন তেমন কিছু করে বসতে পারে।
উদ্দীপক-২: বারো বছর আগের ছোট্ট আবীর আজ কলেজ থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় হাসপাতালে। রক্তের জন্য বাবা-মা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছেন। খবর পেয়ে সামাদ মিয়া ছুটে এসে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলে- ‘সাহেব, আবীর বাবার জন্য আমার সব রক্ত নেন, আমার নিজের ছেলেরে হারাইছি, ওরে হারাইলে আমি বাঁচুম না।’
ক. কাবুলিওয়ালার মলিন কাগজটিতে কী ছিল?
খ. রহমতকে কারাবরণ করতে হয়েছিল কেন?
গ. উদ্দীপক-১ অংশে ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে—ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘উদ্দীপকের সামাদ মিয়া যেন কাবুলিওয়ালা গল্পের মূল ভাবকেই ধারণ করে আছে’—বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—২ ■ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
রায়হান কাজের খোঁজে মালয়েশিয়ায় গেল। সেখানে থাকতে মন চায় না তার। সারাদিন বাড়ির কথা মনে পড়ে। নিজের ছেলেটার কথা খুব মনে হয়। তাকে দেখতে ইচ্ছা করে কিন্তু কী আর করার? অর্থ উপার্জন ছাড়া সংসার চলবে না তার। তাই চোখের জলে বুক ভিজিয়ে অপেক্ষা করে। কেটে যায় ১০টি বছর। রায়হান দেশে ফিরে আসে। তার ছেলে রানা তখন ১৬ বছরের তরুণ। নিজের ছেলেকে দেখে চিনতেই পারে না রায়হান।
ক. পঞ্চবর্ষীয় শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘হামি সসুরকে মারবে’—ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের রায়হান ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের রহমতেরই প্রতিরূপ—কথাটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “সন্তান যত দূরেই থাক, সে থাকে পিতার অন্তরে।”—কথাটির সার্থকতা ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পে ও উদ্দীপকের আলোকে বিচার কর।
উত্তর সহ এই অধ্যায়ের আরো সৃজনশীল প্রশ্ন পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।