SSC Bangla 1st CQ বইপড়া

SSC

Bangla 1st

বইপড়া

সময়ঃ ১ ঘন্টা                                                                                               পূর্ণমানঃ ৩০

 

১. করিম একজন স্বশিক্ষিত মানুষ। বরিশালের এক প্রত্যন্ত গ্রামে তার বাড়ি। বাল্যকাল থেকে নতুন কিছু জানা এবং বইয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল প্রচুর। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার বেশি দূর লেখাপড়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু বইয়ের প্রতি তার বই অদম্য আগ্রহের কাছে সকল প্রতিবন্ধকতা হার মানে। পরবর্তী সময়ে তিনি একটি লাইব্রেরিতে খুব সামান্য বেতনে চাকরি নেন। লাইব্রেরির বই পরিষ্কার করার ফাঁকে ফাঁকে বইয়ের মধ্যে বুঁদ হয়ে থাকতেন। বই পড়াই হয়ে ওঠে তার একমাত্র নেশা। আর এ নেশাই তাকে পরবর্তী সময়ে একজন দার্শনিকে পরিণত করে। সুশিক্ষিত লোক মাত্রই যে স্বশিক্ষিত তা করিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

ক. প্রমথ চৌধুরীর পৈত্রিক নিবাস কোথায়?
খ. ‘যে জাতির জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য, সে জাতির ধনের ভাঁড়েও ভবানী’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. বাঙালি সমাজ ভাবনায় অর্থনৈতিক প্রসঙ্গ উদ্দীপকে ও ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে কীভাবে ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত” মন্তব্যটি উদ্দীপক ও ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন কর।

২। সতের বছর বয়সে বাড়ির বড় বউ হয়ে এসেছে রূপা। তার চোখের চাহনি যেন কবিতায় মোড়ানো এক ছন্দময় কবিতা। বাড়ির পাঁচিলের ধারে গাছে গাছে আমের মুকুল এলে আর দক্ষিণা বাতাস মন ছুঁয়ে গেলে সে বুঝতে পারে ধরাতলে বসন্ত এসেছে। তবে বিশ্বজগৎ তার ঋতুর সুধাপাত্র হাতে করে যেমন করেই ডাক দিক না কেন, রূপা বুঝতে পারে অতি তুচ্ছ ইট-কাঠের অন্তরালেই তাকে তিলে তিলে মরতে হবে। বিয়ের বিশটি বছর পর সে আবিষ্কার করে নিজেকে। দেখে সংসারের প্রতিদিনকার জীবনযাত্রার
মধ্যে কখন সে হারিয়ে ফেলেছে তার ব্যক্তিক সত্ত্বাকে, তার কাব্যিক সত্ত্বাকে।

ক. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় কোন পত্রিকায় ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা ও প্যারোডি লিখে সাহিত্যাঙ্গনে প্রবেশ করেন?
খ. ‘নিমগাছের ইচ্ছে করতে লাগলো লোকটার সঙ্গে চলে যেতে’ কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের রুপার সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের প্রতীকী নিমগাছের ও লক্ষ্মীবউর সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের মূলগল্পকে উপস্থাপন করেছে’ ‘নিমগাছ’ গল্পের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

৩। সজীব ও সালমান বাল্যবন্ধু। দুজনই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। পেশাগত জীবনে সজীব বড় চাকুরীজীবী। গাড়ি, বাড়ি, টাকা-কড়ি কোনো কিছুরই অভাব নেই তার। সবাই তাকে এক নামে চেনে। আর সালমান শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। গত সিডরে তাদের গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় সালমান তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। অথচ সজীব ছুটে এসে সাহায্যের বদলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনে নেয়।

ক. মানব জীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী কয়টি উপায়ের কথা বলেছেন?
খ. আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন?
গ. উদ্দীপকের সজীবের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সালমানের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

 

 

 

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *