মডেল-২:
১৯১৩ সালে বিজ্ঞানী নীলস বোর আরও সংশোধিত একটি পরমাণু মডেল প্রকাশ করেন।
মতবাদ সমূহঃ
১। শক্তিস্তরঃ পরমাণুর কেন্দ্রের চারপাশে কিছু নির্দিষ্ট কক্ষপথে ইলেকট্রন সমূহ ঘুরতে থাকে যেগুলো প্রধান শক্তিস্তর বলে। প্রধান শক্তিস্তরকে সাধারণত n দ্বারা প্রকাশ করা হয়। n=1/2/3/4…. হলে একে যথাক্রমে K/L/M/N ইত্যাদি দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
২। ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগঃ কোনো নির্দিষ্ট কক্ষপথে ইলেকট্রন ঘূর্ণনরত থাকলে এর একটি নির্দিষ্ট ভরবেগ থাকে যার মান।
আর এই কৌণিক ভরবেগের মান, mvr =nh/2
যেখানে, m = ইলেক্ট্রনের ভর, n= শক্তিস্তরের মান, v=ইলেক্ট্রনের রৈখিক বেগ, r=কক্ষপথের ব্যাসার্ধ
h= প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক = 6.626×10-34
৩। শক্তির শোষণ ও বিকিরণঃ স্বাভাবিক ভাবে যখন কোনো ইলেকট্রন কক্ষপথে ঘুরতে থাকে তখন তা কোনো শক্তি গ্রহণ বা বিকিরন করেনা। তবে, যখন কোনো ইলেকট্রন নিম্ন শক্তিস্তর থেকে উচ্চ শক্তিস্তরে প্রবেশ করে তখন শক্তি শোষণ করে। আবার, উচ্চ শক্তি স্তর থেকে নিম্ন শক্তিস্তরে ইলেকট্রন প্রবেশের সময় শক্তি বিকিরন করে। এই বিকিরিত শক্তি এক ধরণের আলোক বর্ণালি হিসেবে নির্গত হয় যাকে পারমাণবিক বর্ণালি বলে।
ইলেক্ট্রনের শোষিত বা বিকিরিত শক্তির মান, = h = h
যেখানে, h= প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক= 6.626×10-34 , c = আলোর বেগ, = আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য।